,

হারিছ চৌধুরী, সিলেটের মেয়র আরিফ ও জি.কে গউছসহ ৯ জনের নাম যোগ করে সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশীট জমা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌর সভার মেয়র জি.কে গউছসহ নতুন আরও ৯ জনের নাম যোগ করে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ.এম.এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় তৃতীয় দফার সম্পূরক চার্জশীট জমা দিয়েছে পুলিশ। এ মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন্নেসা পারুল বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ সদর বিচারিক হাকিমের আদালতে এই অভিযোগপত্র দেন। তার দেওয়া অভিযোগপত্রে হারিছ চৌধুরী, আরিফুল ও হবিগঞ্জের মেয়র গোলাম কিবরিয়া গউসসহ মোট ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে ঈদ পরবর্তী এক জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ.এম.এস কিবরিয়া। ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ওই হামলায় আরো নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। ওই রাতেই হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বর্তমান) আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। প্রথমে সিআইডির এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২০ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর মামলার বাদী আবদুল মজিদ খান ২০০৬ সালের ৩ মে সিলেট দ্রুত বিচার আদালতে নারাজি আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে। এরপর ১৪ মে তিনি হাই কোর্টে আপিল করেন। আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্ট ‘কেন অধিকতর তদন্ত করা যাবে না’ মর্মে রুল জারি করে। এই রুলের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ১৮ মে লিভ টু আপিল করে সরকার। আপিল বিভাগ সরকারের আপিল খারিজ করে। এরপর ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মামলার অধিকতর তদন্ত শুরু হয়, যার দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামকে। তিনি ২০১১ সালের ২০ জুন আরও ১৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই অভিযোগপত্রে জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং মুফতি হান্নানকেও আসামি করা হয়। কিন্তু এরপর আবার ২০১১ সালের ২৮ জুন কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া অভিযোগপত্রে হবিগঞ্জের বিচারিক আদালতে নারাজি আবেদন করেন। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি নারাজি আবেদন গ্রহণ করেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক। এরপর মামলাটি তৃতীয়বারের মতো অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির এএসপি মেহেরুন নেছা।


     এই বিভাগের আরো খবর