,

শিগগিরই হচ্ছে না বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ!

সময় ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে টিম অস্ট্রেলিয়াকে ভিভিআইপি মর্যাদার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সিরিজ যাতে বাতিল না হয় সেজন্য বিসিবির পক্ষ থেকে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ)। কিন্তু বারবার বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বঞ্চিত করা অস্ট্রেলিয়া তাদের অবস্থানে অনঢ়। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার ইস্যুতে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করে দিয়েছে। যদিও বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ মাসে আইসিসির সভায় বিষয়টি তোলা হবে। এ নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বিশদভাবে আলোচনাও হবে। তবে সময় যত গড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফর ততই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। কারণ, আগামী একবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি সিরিজ রয়েছে। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, যত আলোচনা-সমালোচনাই হোক না কেন আগামী একবছরেও বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। এ বছর নভেম্বরে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। আর একই মাসে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে নিউজিল্যান্ড। এরপর আগামী বছর জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। মার্চ থেকে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের কোনো খেলা না থাকলেও অস্ট্রেলিয়া খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ভারতের সঙ্গে। তাই টানা ক্রিকেট খেলার পর সেপ্টেম্বরেও যে খেলতে রাজি হবে অস্ট্রেলিয়া এমন সম্ভবনাও কম। তাই বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার এই সিরিজ পড়ে গেলো রীতিমত অনিশ্চয়তার পথে। এদিকে, বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অস্ট্রেলিয়া যে, কতটুকু সহায়ক তা এ পরিসংখ্যান দেখলে সহজেই স্পষ্ট হয়। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এ পর্যন্ত মোট ৯৩টি টেস্টে খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬টি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪টি, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১টি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০টি, ইংল্যান্ড, ভারতের বিপক্ষে ৮টি সেখানে ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪টি টেস্টÑ বড়ই বেমানান। শুধু তাই নয়, ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে বাংলাদেশকে প্রাপ্য ২টি টেস্ট থেকে বঞ্চিত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ২০১১ সালেও বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়া খেলেনি কোনো টেস্ট। অস্ট্রেলিয়া ২০০৬ সালে বাংলাদেশে শুধু দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল। প্রায় দীর্ঘ নয় বছর পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু বাংলাদেশের গায়ে ‘অনিরাপদ’ কলঙ্ক দিয়ে শেষ পর্যন্ত সেই সিরিজ স্থগিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেট বাংলাদেশর মানুষের আনন্দ-উল্লাসের এমন একটি মাধ্যম যেখানে কোনো দল-মতের ভেদাভেদ থাকে না। অস্ট্রেলিয়ার সফর স্থগিতের ফলে সাকিব-মুশফিকরা বিশ্বের অন্যতম সেরা দলের বিরুদ্ধে খেলা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বঞ্চিত হয়েছেন এ দেশের কোটি কোটি টাইগার ভক্ত। সর্বোপরি বড় ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে এ দেশের ক্রিকেট। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) দুঃখপ্রকাশই কি যথেষ্ট? তারা কি ক্ষমা করবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে?


     এই বিভাগের আরো খবর