,

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাশকতার মামলায় নবীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ আশরাফ আলীসহ ২৫ জন কারাগারে

আব্দুল হামিদ ॥ হবিগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ আশরাফ আলী, জেলা জামায়াত নেতা এডঃ আব্দুস শহীদ, শায়েস্তাগঞ্জ থানা জামায়াতের সেক্রেটারী ইয়াছির খান সহ আটক ১১ জন সহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং নাশকতার অভিযোগে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা ও শায়েস্তাগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দু’টি দায়ের করে। গতকাল দুপুরে তাদেরকে হবিগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হক রবিবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলার নবীগঞ্জ, লাখাই, শায়েস্তাগঞ্জ, চুনারুঘাট ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ আশরাফ আলী, জামায়াত নেতা এডঃ আব্দুস শহীদ, লাখাই জামাতের সেক্রেটারী মোঃ নুরুল আমীন, শায়েস্তাগঞ্জ থানা জামায়াতের সেক্রেটারী ইয়াছির খান, পৌর শিবিরের সেক্রেটারী হোসাইন আহমেদ, নিজাম উদ্দিন এবং আজিজুল হক সহ ২৫ জনকে আটক করা হয়। পরে যাচাই বাচাই শেষে নিরপরাধ ১৪ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। অভিযানকালে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ আশরাফ আলীকে রবিবার মধ্যরাতে তার নিজ বাড়ী থেকে আটক করে পুলিশ। রাতেই তাকে হবিগঞ্জ ডিবি অফিসে নিয়ে আসা হয়। এদিকে গভীর রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে হবিগঞ্জ শহরের কোর্টষ্টেশন রোডে অবস্থিত জামায়াত নেতা এডঃ আব্দুস শহীদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। পুলিশ জানায়, তার বাসার একটি কক্ষে জামায়াতের অফিস রয়েছে। ওই অফিস থেকে লিফলেট, বই পাওয়া যায়। এ কারণে এডঃ আব্দুস শহীদকে আটক করা হয়। আটক মাওঃ আশরাফ আলী, এডঃ আব্দুস শহীদ সহ আটক ৭জন সহ ১৪ জনের নাম উলেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল বিকেলে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই কৃষ্ণমোহন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন। আটককৃত অপর অভিযুক্তরা হচ্ছে সদর উপজেলার রায়ধর গ্রামের শামীম আহমেদ, নোয়াখালীর সেনবাগের মানিক মিয়া, নবীগঞ্জের পারকুল গ্রামের সানোয়ার আলী, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ইমরান আহমেদ এবং সুনামগঞ্জের সুফিয়ান। ওই মামলায় জামায়াত শিবিরের আরো ৭ নেতা কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরা পলাতক বলে পুলিশ সূত্র জানায়। অপরদিকে অভিযানকালে রাত ১২ টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জ মনিকা সিলেমা হলের পাশে অবস্থিত দিগন্ত ডায়গনস্টিক এন্ড কন্সালটেন্ট সেন্টারের পিছনে একটি ম্যাচ থেকে ৫টি তাজা ককটেল, ককটেল তৈরীর সরঞ্জাম, ১২টি মোবাইল, ১টি নম্বরবিহীন টিভিএস মোটর সাইকেল, বিপুল পরিমাণ ইসলামী বই ও সরকার বিরোধী লিফলেট উদ্ধার করে। এ সময় শায়েস্তাগঞ্জ থানা জামায়াতের সেক্রেটারী শায়েস্তাগঞ্জ ষ্টেশন রোডের আকরাম খানের পুত্র ইয়াছির খান ও পৌর শিবিরের সেক্রেটারী চুনারুঘাট উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের ঝাড়– মিয়ার পুত্র হোসাইন আহমেদ, শিবির কর্মী বানিয়াচঙ্গের জাতুকর্ণপাড়ার মইনুদ্দিনের পুত্র নিজাম উদ্দিন এবং শায়েস্তাগঞ্জের নিজগাও গ্রামের হাজী তফাজ্জুল হকের পুত্র আজিজুল হককে আটক করা হয়। গতকাল শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই মুখলেছুর রহমান বাদী হয়ে আটককৃতকৃত ৪ জন সহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আটক ৪ জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। অপর ৭ জন পলাতক রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর