,

পৌর ও ইউপি নির্বাচন করতে পারবে না জামায়াত

সময় ডেস্ক ॥ নিবন্ধন বাতিলের কারণে আগামী ডিসেম্বর ও মার্চে অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। পাশাপাশি সংশোধিত আইনেও দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়া দলের প্রতীকে কেউ অংশ নিতে পারবে না; এমন বিধান থাকবে বলে জানিয়েছে ইসি। নভেম্বরে সারাদেশের পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। আর নির্বাচন হবে ডিসেম্বরে। আর ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ইউপি নির্বাচন। কিন্তু নিবন্ধন বাতিল হওয়ার কারণে এ নির্বাচনে দলীয় প্রতিক দাড়িপাল্লা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না দলটি। প্রসঙ্গত,২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। ২০০৯ সালে দলটির নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অন্য কয়েকটি ইসলামপন্থী সংগঠনের ২৫ জন নেতার আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ওই রায় দেওয়া হয়। এর আগের বছর ২০০৮ সালে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হয়। আইনানুযায়ী কোনো দল নিবন্ধিত না হয়ে সংগঠন হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে কোনো ধরণের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নভেম্বরের কোনো একটি সময়ে তফসিল ঘোষণা করে ডিসম্বরে নির্বাচনটি করতে চাই আমরা। বিধিমালার খসড়াটি করে ফেলা যায় কি না সেই চেষ্টা নির্বাচন কমিশন করে যাচ্ছে। কারণ আইন পরিবর্তন করতে যেয়ে যেনো নির্বাচনটি করতে দেরি না হয়ে যায় সেই ব্যাপারটি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় নির্দলীয় নির্বাচনগুলোতে একাধিক প্রার্থী অংশ নেওয়ার ফলে প্রার্থী সমর্থন দিতে একদিকে দলগুলোকে যেমন হিমশিম খেতে হয়। অন্যদিকে নির্বাচনে সহিংসতায় শৃঙ্খখলাও ভঙ্গ হয়। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে তৃণমূলে সঠিক নেতৃত্ব আসবে, সহিংসতাও কমবে বলেও মনে করেন ইসি। সচিব আরো বলেন, নির্বাচনটি যেহেতু রাজনৈতিক ভিত্তিতে হবে সেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নিদিষ্ট প্রতীক নির্ধারিত থাকবে। আমাদের ধারনা রাজেনৈতিক দলের প্রতীক ব্যবহার করা সমীচীন হবে। জামায়াত ইসলামীর নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আদালত যেহেতু জামায়াত দলের নিবন্ধন বাতিল করেছে সেক্ষেত্রে এই নির্বাচনে তাদের অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পৌরসভা নির্বাচনে পরীক্ষামূলক ভাবে আবারো ইভিএম ব্যবহারের কথা চিন্তা ভাবনা করছে নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন: ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ২৪৫ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দেশে পৌরসভা রয়েছে ৩২৪টি। এর মধ্যে নির্বাচন উপযোগী রয়েছে ২৮৫টি। তবে সীমানা জটিলতার কারণে এই মুহূর্তে ২৬টিতে নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না। বাকি পৌরসভায় সীমানা নির্ধারণের কাজ চলছে। আর কয়েকটিতে সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে। এর আগে ১২ জানুয়ারি ২০১১ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এসব পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছিল। এসব পৌরসভায় প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে। সেই হিসাব অনুযায়ী পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। ইউপি নির্বাচন: সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন কয়েকটি ধাপে করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২০১১ সালের মার্চে শুরু হয়ে জুনের মধ্যে সম্পন্ন হয় ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে উপকূলীয় অঞ্চলের ১২টি জেলার ৫৬৮টি ইউনিয়ন পরিষদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাকিগুলো জুনের মধ্যে সম্পন্ন করে ইসি। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ২৯ ধারার উপ-ধারা (৩)-এ বলা আছে, পরিষদ গঠনের জন্য কোনো সাধারণ নির্বাচন ঐ পরিষদের জন্য অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ থেকে ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিনের (৬ মাস পূর্বে) মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। অতএব ২০১১ সালের মার্চে যেসব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেগুলো এ বছরের অক্টোবরের পর নির্বাচন উপযোগী হবে। আর বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলোর নির্বাচন ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে।


     এই বিভাগের আরো খবর